বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ
প্রথম দুই ম্যাচেই নিশ্চিত হয়ে গেছে সিরিজ হার। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটি এখন বাংলাদেশ দলের জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই। তামিম
দারুণ এক সময়ই কাটাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে শুরু করে তারা। এখন জিতেছে ওয়ানডে সিরিজও। দুই ম্যাচেই
নতুন একটা দিন, আলাদা ম্যাচ। সিকান্দার রাজা রয়ে গেলেন একই রকম। দলের প্রয়োজনে লড়লেন, সময়ের প্রয়োজন বুঝে খেললেন পুরোটা সময়। কখন থামলেন?
উইকেট হারানোর ক্ষত জিম্বাবুয়ে সামলে উঠতে পারে কি না এটাই ছিল প্রশ্ন। কিন্তু তাদের একজন সিকান্দার রাজা আছেন। আগের ম্যাচের মতো আজও
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। ৩০৪ রানের লক্ষ্য জিম্বাবুয়ে টপকে গিয়েছিল সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়ার জোড়া
জয় তখনও নিশ্চিত হয়নি, তবুও হারারের মাঠটিতে শুরু হয়েছে উৎসব। গ্যালারির বেশির ভাগ অংশেই চেয়ার নেই, সেদিকটাতেই যেন একটু বেশি। সবসময়
শুরুতে পেসারদের বলে ছিল মুভমেন্ট। কঠিন সময় পাড় করতে হয়েছে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে। সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন তারা। তামিম তো পেয়ে
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে সিরিজ জেতার স্বাদ পেয়েছে
নতুনের বার্তা দেওয়ার কথা ছিল সিরিজে। অথচ হারারের স্টেডিয়াম সাক্ষী হলো বাংলাদেশের ব্যর্থতার মিছিলের। পুরো সিরিজজুড়ে কখনও
লিটন শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু এরপর ফিরে গেছেন সহজ ক্যাচ দিয়ে। ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন ও
শুরুটা দারুণই হয়েছিল বাংলাদেশের। ৬৭ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু এরপরই হারারের দর্শকদের উচ্ছ্বাসের শুরু।
এর আগে তার পুরো ক্যারিয়ারেই পাঁচ উইকেট এসেছিল একবার। সেটাও লিস্ট এ ক্রিকেটে। এবার মোসাদ্দেক হোসেন পাঁচ উইকেটের দেখা পেলেন
মোসাদ্দেক হোসেন দিয়েছিলেন দারুণ কিছুর বার্তা। তাতে পূর্ণতা দিলেন ব্যাটাররা। নতুন দিনের বার্তা দেওয়া দল পেল জয়ের দেখা। প্রথম
দুর্দান্ত একটা শুরুই এনে দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এমনিতে তিনি মূল বোলার হিসেবে বেশির ভাগ ম্যাচেই খেলেন না। কিন্তু তার বলে
মূল স্পিনারদের একজন তিনি নন। তবুও তাকে দিয়েই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বোলিং শুরু করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।